মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭

জেনে নিন কিভাবে খেলবেন ব্লু হোয়েল




 অনলাইন সুইসাইড গেমব্লু হোয়েল এই গেমের ৫০টি ধাপ। সর্বশেষ পরিণতি আত্মহত্যা। লেভেল টাস্কগুলো ভয়ংকর। গেম যত এগোবে, টাস্ক তত ভয়ংকর হতে থাকবে।
প্রথমদিকের টাস্কগুলো মজার হওয়ায় সহজেই আকৃষ্ট হয়ে পড়ে কিশোর-কিশোরীরা। কেউ খেলায় ইচ্ছুক হলে তার কাছে পৌঁছে যায় নির্দেশনাবলি। সেই মতো নির্দেশ বা চ্যালেঞ্জগুলো একে একে পূরণ করে তার ছবি পাঠাতে হয় গেম হ্যান্ডলারকে।


 


প্রথমে সাদা কাগজে তিমি মাছের ছবি এঁকে শুরু হয় খেলা। তারপর
খেলোয়াড়কে নিজেরই হাতে পিন বা ধারালো কিছু ফুটিয়ে নিজের রক্ত দিয়ে আঁকতে হয় সেই তিমির ছবি। একা ভূতের ছবি দেখতে হয়, আবার ভোর ৪টা ২০ মিনিটে ঘুম থেকেও উঠতে হয়। চ্যালেঞ্জের মধ্যে অতিরিক্ত মাদকসেবনও রয়েছে।

গেমের লেভেল যত এগোয়, ততই ভয়ংকর হতে থাকে টাস্কগুলো। এই টাস্কগুলোতে অংশগ্রহণের পর সেই ছবি পোস্ট করতে হয় এর গেমিং পেজে। প্রতিযোগিতার একেবারে শেষ পর্যায়ে, অর্থাৎ ৫০তম টাস্কের শর্তই হলো আত্মহত্যা।

২০১৩ সালে রাশিয়ায় শুরু হয় ওই মরণখেলা। প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দুই বছর পরে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, নীল তিমিরা মারা যাওয়ার আগে জল ছেড়ে ডাঙায় ওঠে। যেন আত্মহত্যার জন্যই। সেই থেকেই এই গেমের নাম হয়েছেব্লু হোয়েল' বা নীল তিমি।

পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন মাসে রাশিয়া, পার্শ্ববর্তী এলাকা বাংলাদেশসহ মোট ১৭ তরুণীর আত্মহত্যার খবর মিলেছে। এদের মধ্যে বাংলাদেশের স্কুল শিক্ষার্থী স্বর্ণা (১৩) গলায় ফাঁস দিয়ে, সাইবেরিয়ার দুই স্কুলছাত্রী য়ুলিয়া কনস্তান্তিনোভা (১৫) ভেরোনিকা ভলকোভা (১৪) একটি বহুতলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। তদন্তে নেমে পুলিশের নজরে আসে এইব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম' ভারতেও মারা গেছে বেশ কয়েকজন। শেষ পর্যন্ত এটা হানা দিল বাংলাদেশে।


মাঝপথে কেউ খেলা ছাড়তে চাইলে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। এমনকি প্রিয়জনদের ক্ষতি করার হুমকি দেয় তারা। এই গেমিং অ্যাপ মোবাইলে একবার ডাউনলোড হয়ে গেলে তা আর কোনোভাবেই মুছে ফেলা সম্ভব নয়। শুধু তাই নয়, ওই মোবাইলে ক্রমাগত নোটিফিকেশন আসতে থাকে, যা ওই মোবাইলের ইউজারকে এই গেম খেলতে বাধ্য করে।
গেম শুরুর টাস্কগুলো অবশ্য তেমন ভয়ংকর নয়, বরং বেশ মজারই। আর সে কারণেই এই গেমের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা।

অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে। ইন্টারনেটে তাদের বাচ্চারা কি করছে, খেয়াল রাখতে হবে। আতঙ্ক নয়, সচেতন হওয়ার এখনই সময়।

মাঠতো নেই, খেলতে চাইলে বাচ্চাদের সাথে প্রয়োজনে লুডু-ক্যারামবোর্ড খেলুন। তারপরও বাচ্চাদের হাতে স্মার্টফোন আর ফার্স্টফুড দেবেন না।
  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন